বসির আহামেদ(দোহার- নবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি
নবাবগঞ্জ উপজেলার কলাকোপা ইউনিয়নের বাসিন্দা ডোম জামাল ফকির তিনি বলেন,১৯৯৫ সাল থেকে নবাবগঞ্জ ও দোহার থানায় লাশ বহনকারীর কাজ করে আসছি।সড়ক দূর্ঘটনা,গলায় ফাঁস,বিষ খাওয়া সহ বিভিন্ন অপমৃত্যুর লাশ পাওয়া যায়।খাল- বিল নদী নালা,ডুবা,ক্ষেত খামার থেকে পঁচা গন্ধ পোকায় ধরা লাশ গুলো আমাকে সেখান থেকে তুলে থানায় পৌঁছে দিতে হয়,এমনকি ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেলে নিয়ে যেতে হয়,কোন মাসে এ কাজ হয় কোন মাসে হয় না,যখন লাশ নিয়ে যাই তখন আমার গাড়ি ভাড়াটা পাই,কিন্তু সরকারী ভাবে আমি কোন বেতন পাই না,বিষয়টি জাতীর কাছে প্রশ্ন রেখে ডোম জামাল ফকির বলেন,লাশ বহনকারী ডোমদের জন্য সরকারের কি কোন কিছুই করা নেই।অদ্য পর্যন্ত তিনি লাশ কাটার ডোম হিসাবে সরকারের কাছ হতে কোন অর্থ পান নাই।লাশ কাটা ডোমের জন্য সরকার থেকে কোন অর্থ দেন কিনা তিনি তাও জানেন না।নবাবগঞ্জ ও দোহার থানার লাশ কাটা ডোম জামাল অনেক কষ্টের করে তার সংসার পরিচালনা করেন। পিকাপ ও পল্লী গায়ক হিসাবে যে অর্থ পান সে দিয়ে কোন রকম ভাবে তার সংসার চলে। তিনি কষ্টের শুরে বলেন,লাশ কাটা সাহসের বিষয় এ কাজ একজন স্বাভাবিক ব্যাক্তি করতে পারবে কি না আমি জানিনা।আমি মনে করেছিলাম এ কাজ করলে সরকারের কাজ থেকে যে অনুদান পাবো সেটা দিয়ে আমার পরিবার পরিজন একটু ভালোভাবে দিন কাটাবে।কিন্তু অস্বাভাবিক পেশায় সরকারের যে কোন অনুদান নাই সেটা বুঝতে পারলে এ পেশায় আসতাম না।কিন্তু নিজের বিবেকের তাড়নায় প্রশাসনের নির্দেশ ও বেওয়ারিশ লাশের চিন্তা করে আমি আমার লাশ কাটার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।










